বাঙালীরা বাজি ধরার শিল্পকে সবসময়ই রোমাঞ্চকর বলে মনে করেছে। বিপ্লবী হওয়ার দীর্ঘ ইতিহাস থাকার দরুন বাংলাদেশের মানুষ ঝুঁকি নিতে কোনোদিন পিছপা হয়নি। যুগে বাংলাদেশের মানুষ খেলাধুলায় বাজি ধরার উপায় খুঁজে পেয়েছে এবং আজকাল, বিডি বেট সাইটের সাহায্যে, এটি আরও সহজ হয়ে উঠেছে।
এই নিবন্ধে আমরা বাংলাদেশের সেরা এবং সর্বাধিক জনপ্রিয় কিছু বুকমেকারদের দিকে নজর দেব যারা পুরো ব্যাপারটিকে সম্ভব করে তোলে। আমরা আপনাকে দেখাব কিভাবে বাজির জন্য সাইট খুঁজে বের করতে হয়, কিভাবে বাজি ধরতে হয় এবং আপনার অন্য সব প্রশ্নের উত্তর দেব, কাজেই পড়তে থাকুন!
আপনার যে জিনিসটি প্রথম জানা উচিত, সেটা হচ্ছে অনলাইনে কীভাবে বাজি রাখতে হয়। এটি সফলভাবে করতে হলে এই পদ্ধতিগুলি অনুসরণ করুন:
প্রথমে আপনার পছন্দসই বাজি সাইটে যান। ওখানে আপনাকে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। এটা খুব একটা কঠিন ব্যাপার নয়। আপনার প্রয়োজীয় সব তথ্য দিলে পরে আপনার অ্যাকাউন্ট জলদি তৈরি হয়ে যাবে।
এর পরে আপনাকে টাকা জমা করতে হবে আপনার অ্যাকাউন্টে। ডিপোজিট করুন যতটা আপনি চান।
কি পদ্ধতি দ্বারা আপনি টাকা ফেলবেন সেটা সম্পূর্ণ আপনার উপর। অনেক বিশ্বস্ত অ্যাপ আছে যেমন PayPal। আপনার যেভাবে সুবিধা, সেভাবেই টাকা ফেলবেন।
বাজি ধরার প্রক্রিয়া বহুলাংশে নির্ভর করবে আপনি যে প্লাটফর্মে বাজি ধরছেন, সে প্লাটফর্মের উপর। বর্তমানে কিছু বাজির সাইটে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং গুগল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেও নিবন্ধন করা যায়। সেক্ষেত্রে নিবন্ধনপ্রক্রিয়া আরো সহজ।
বাংলাদেশে ক্রীড়া বাজির সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
বাংলাদেশ পণ ও বাজির লম্বা ইতিহাস আছে। দেশে প্রথম জুয়ার খেলা ছিল দেশের বৃহত্তম রেস ট্র্যাকে ঘোড়দৌড়। এই খেলার উপর বাজি ধরার জন্য ভিড় হতো প্রচুর, কিন্তু ইদানিংকালে বেশিরভাগ বাজি বিদেশী রেসের উপর রাখা হয়।
এর কারণ ১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দের পাবলিক গ্যাম্বলিং অ্যাক্ট। ঘোড়দৌড় এবং ক্রিকেট, দুটি সর্বাধিক জনপ্রিয় খেলার জুয়া সহ সমস্ত বাজিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে এই আইন, যার কারণে প্রত্যেক এলাকায় জুয়া খেলার পরিবর্তন ঘটে।
তবে দেখতে গেলে এটি এই দেশে বাজি ধরার উপর খুবই সামান্য প্রভাব ফেলেছিল কারণ বাঙালি গুপ্তভাবে জুয়া খেলা শুরু করেছিল। এখনো অনেক মানুষ আছে যারা এইভাবেই তাদের ক্রীড়াপ্রেম প্রকাশ করে।
বাংলাদেশে কি অনলাইন বেটিং বৈধ?
১৮৬৭ খ্রীষ্টাব্দে বাজি ধরা এবং সবরকম বাংলা পণ ও জুয়া খেলাকে আইনিতভাবে অবৈধ ঘোষণা করা হয় এবং স্বাধীনতা অর্জনের পরেও এই আইন পালটানো হয়নি। কাজেই তৎকালীন বাংলাদেশে কোন এখনও কোনো ক্যাসিনো আপনি পাবেন না। তার মানে এই নয় যে বাঙালি বাজি ধরে না। ক্রিকেট কিংবা ফুটবপ্রেমীদের জন্য অনেক বেটিং সাইট আছে যার দ্বারা আপনি নানারকম ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বাজি ধরতে পারেন।
যদিও দেখতে গেলে এটি আইনত অপরাধ, তবে অনলাইন বেটিং সাইটের মাধ্যমে বাজি ধরার অনেক সুবিধা আছে। অনেক বেটিং সাইট বাংলাদেশী বেটরদের জন্য তাদের দরজা খুলে দিয়েছে। তাই অনলাইন বেটিং ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে। আমাদের নিবন্ধে উল্লিখিত বিশ্বস্ত সাইটগুলির সাথে বাজি ধরা আপনাকে আর্থিক ক্ষতির থেকে বাঁচিয়ে রাখবে।
কথায় বলে সাবধানের মার নেই!
কিভাবে সঠিক বেটিং সাইট নির্বাচন করবেন
আপনি কি একবারের দেখাতেই মানুষ চিনে ফেলতে পারেন? কাজটা বেশ কঠিন, তাই না? চোখের দেখায় মানুষ চিনতে না পারলে তো সাইট চেনা আরো দুষ্কর! তবে চাপ নেবেন না। একটু কাঠ খড় পোড়ালে সবই সম্ভব! শিখে নিন কিভাবে বাছবেন সেরা পণ সাইট কোনটি:
আপনি যখন অনলাইনে বাজার করেন, তখন নিশ্চয়ই আপনি অন্ধবিশ্বাসের উপর নির্ভর করে কাজ করেন না। আপনি আগে দেখেন যে জিনিসটি আপনি নিচ্ছেন, সেটি আদতে ঠিকঠাক কিনা। এর জন্য রিভিউ পড়া জরুরি। বেটিং সাইট বাছার আগে আপনাকে বেশ কয়েকটা রিভিউ পড়ে দেখতে হবে যে প্রত্যেকটার সুবিধা-অসুবিধা কি। রিভিউ থেকে আপনি অনেক মূল্যবান তথ্য পাবেন যা আপনাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।
পরের ধাপ হচ্ছে রিভিউয়ের থেকে যা শিখলেন, সেটা কাজে লাগানো। আপনি যখন বাজারে কেনাকাটি করতে যান, তখন নিশ্চয় অনেক দোকান ঘুরে দেখেন। কোথায় কিসের কিরকম দাম, সবই জানা দরকার কিছু কেনার আগে। ক্রীড়া পণ সাইটের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। নানা সাইটের রিভিউ পড়ে আপনাকে একটির সঙ্গে আরেকটির তুলনা করতে হবে, এবং তার ভিত্তিতে নিতে হবে সিদ্ধান্ত।
সিনেমা দেখতে যাওয়ার আগে আমরা সকলে আগে ট্রেলার নিয়ে চর্চা করে থাকি। গাড়ি কেনার আগে যেমন 'টেস্ট রান' নি, সেরকম ভাবে বাংলাদেশী বাজি সাইট নির্বাচনের সময় তাদেরও একটু চেখে দেখতে হয়। সাইট খুলে একটু নাড়াচাড়া করে দেখে নিন আপনার পছন্দের কিনা। কিভাবে ব্যবহার করবেন সেটারও আন্দাজ হয়ে যাবে, আরকি!
এইসব কিছু করার পরে আপনার কাছে ঠিকঠাক সিদ্ধান্ত নেওয়ার সবরকম তথ্যই থাকবে। দেখেশুনে বেছে নেবেন একটা পণ সাইট যার দ্বারা বাজি রাখা হয় আপনার কাছে সবচেয়ে সহজ ও মজাদার।
বাংলাদেশের সেরা ৫টি স্পোর্টস বেটিং সাইটকে চিনে রাখুন
খেলাধুলার জন্য বাজি সাইট কিভাবে চিনতে হয়, সেটা তো দেখা গেল, কিন্তু তাই বলে কি সবসময় বাছাবাছি করতে হবে নাকি? মোটেই না! চলুন আপনার মোলাকাত করিয়ে দিই বাংলাদেশের পাঁচটি সেরা বাজি সাইটের সাথে।
22Bet
22Bet প্রথম দিকের অনলাইন বুকমেকারদের মধ্যে একটি। সাইটটি 1997 সাল থেকে কাজ করছে। 22Bet নিরাপদ না হলে এতদিন টিকে থাকত না, এবং ২৫ বছর ধরে জনগণের সেবা করার পরে সবাই 22Bet কে সমীহ করে চলে। 22Bet এর সদর দফতর সাইপ্রাসে। কাহনাওয়াকে গেমিং কমিশন তাদের তত্ত্বাবধান করে। 22Bet-এ আপনার টাকা নিরাপদ, তাই আপনি বিশ্বাসের সাথে ডিপোজিট করতে এবং গেম খেলতে পারেন।
MelBet
MelBet তাদের অবিশ্বাস্য পরিষেবাগুলির জন্য পরিচিত 2012 সাল থেকে, যখন এটি প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই কোম্পানি কুরাকাও এবং নাইজেরিয়াতে লাইসেন্সপ্রাপ্ত এবং প্রতি মাসে বাজি ধরার জন্য 30,000টি প্রাক-ম্যাচ ইভেন্ট অফার করে। তারা একটি লাইভ স্ট্রিমিং পরিষেবাও প্রদান করে যা লা লিগা, বুন্দেসলিগা, প্রিমিয়ার লিগ ইত্যাদির থেকে প্রচুর ম্যাচ দেখায়। তবে ওদের সেরা কৃতিত্ত হল মাল্টি-লাইভ, যেখানে ওরা আপনাকে ৪টি ভিন্ন ইভেন্ট দেখার এবং বাজি ধরার সুযোগ করে দেয়।
Bet365
ক্রিকেট, ফুটবল, হকি, আপনার মনে যেই খেলার প্রতি আকর্ষণই থাকুক না কেন, Bet365 এর সাহায্যে আপনি সেই খেলার উপর বাজি ধরতে পারেন খুবই সহজ ভাবে। অ্যাকাউন্ট খুলতে যতটা সময় লাগে আরকি, তারপরেই আপনি সরাসরি যে কোন ম্যাচের ওপর বেটিং করতে পারেন ও লাইভসট্রিম দেখতে পারেন। বিশ্বের নানা দেশে বিস্তৃত হয়েছে Bet365, কাজেই বাংলাদেশীদের কাছেও এই সাইটটি সমানরুপে সুরক্ষিত।
1xBet
এই সাইপ্রাস-ভিত্তিক কোম্পানিটি ইউরোপ, এশিয়া এবং লাতিন আমেরিকায় 5,000 এরও বেশি লোককে নিয়োগ করে। যদিও এই খেলা বাজি সাইটে বাজি ধরার জন্য উপলব্ধ খেলার বিস্তৃত বৈচিত্র্য আছে, 1xBet ক্রিকেটের উপর বিশেষ জোর দিয়ে বাংলাদেশে অনেক নতুন গ্রাহককে আকর্ষণ করে। এটি সারা বিশ্ব থেকে হরেকরকম পেমেন্ট পদ্ধতির গ্রহণ করে এবং দাবি করে যে ওদের কাছে সবচেয়ে বেশি মার্কেট রয়েছে বেটিং করার জন্য।
William Hill
William Hill কোম্পানিকে কে ন চেনে? William Hill বাংলাদেশে শত শত অনলাইন ক্যাসিনো চালায় যেখানে আপনি আপনার পছন্দের গেম খেলতে পারেন। এর মধ্যে রয়েছে সমস্ত ক্লাসিক ক্যাসিনো গেম যেমন ব্ল্যাকজ্যাক, ক্র্যাপস, রুলেট এবং পোকার। সেইসাথে রয়েছে নয়া প্রযুক্তির স্লট মেশিন। এই সব গেমের লাইভ ভিডিও সংস্করণগুলির William Hill এ। বাজি ধরতে হলে William Hill হল এক কথায় অতুলনীয়।
কিরকম বোনাস আপনি বাংলাদেশে বাজির সাইটগুলিতে পেতে পারেন
আপনি কোথায় বেটিং করবেন সেটা ঠিক করার সময় প্রধান বিষয় হচ্ছে বোনাস। আপনি এত টাকা ঢালবেন, তার পরিবর্তে কিছু পুরস্কার নিশ্চয় আবশ্যক! নানা অ্যাপ নানা রকমের বোনাস দিয়ে থাকে। চলুন দেখে নিই আপনি কি ধরনের বোনাস পেতে পারেন সমস্ত পণ সাইট থেকে!
22Bet
যদিও নামে 22Bet, আপনাকে আপনার বোনাস পেতে হলে ২২ বার বাজি ধরতে হবে না। একবারই যথেষ্ঠ! আপনার বাজির পরিমাণ শুধু ১২,০০০ টাকা না ছাড়লেই হলো। ১২,০০০ এর কমে যে কোনো বাজি ধরুন, তার বোনাস পাবেন ১০০%। এই বোনাস দিয়ে তারপর আপনি ২২ কেন, ৫০ বারও বাজি ধরতে পারেন!
1XBet
1xBet অনেক বছর ধরে অনলাইন বুকমেকারদের তালিকায় শীর্ষসথানে রয়েছে এবং তার পিছনে যথেষ্ট কারণ রয়েছে। এই অ্যাপের মাধ্যমে বাজি ধরার বোনাস পাবেন আপনি ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত। এত বড় বোনাস পাওয়া চারটিখানি কথা নয়, কাজেই আজই আপনার প্রথম ডিপোজিট শেরে রাখুন!
MelBet
আপনি যদি ১০,০০০ টাকা অব্দি বাংলা বাজি ধরেন, তাহলে MelBet এর তরফ থেকে আপনার জন্য ১০০% এর বোনাস পাবেন। এই বোনাস পেতে গেলে আপনাকে আগে অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করতে হবে। তারপর যখন আপনি বাজির টাকা জমা করবেন, তখন আপনি আপনার বোনাস পেয়ে যাবেন সরাসরি। Melbet আপনাকে এক লহমা অপেক্ষা করাবে না!
MostBet
MostBet এর সাথে যদি আপনি বেটিং করেন, তাহলে আপনি আপনার প্রথম ডিপোজিটে ১০০% অব্দি বোনাস পাবেন। এটি খাটবে শুধুমাত্র যদি আপনার ডিপোজিট হয় ২৫,০০০ টাকা কিংবা তার কম। এরকম অফার খুব কম অ্যাপই দেয়, কাজেই সুযোগ হাতছাড়া করবেন না! এখনি MostBet অ্যাপটি ডাউনলোড করুন এবং বেটিংএর মজা উপভোগ করুন পুরোদমে!
কিভাবে বাংলাদেশের একজন বুকমেকারের কাছে বাজি ধরা শুরু করবেন?
এইবারে আসল খেলা। শিখলেন তো অনেক কিছুই, তবে এইবার আপনাকে দেখাবো বাংলা বেটিং সাইটে বাজি ধরা শুরু করতে গেলে কি কি করতে হয়।
নিবন্ধন
ইংরিজিতে যাকে বলে রেজিষ্টার করা। এইটা হচ্ছে প্রথম কাজ। যেই সাইটে আপনি বেট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেখানে আগে আপনাকে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। নিজের নাম, পদবী, ফোন নাম্বার, ইমেইল, ব্যাংকের পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য, সব গুছিয়ে দিতে হবে। অ্যাকাউন্ট তৈরির শেষে আপনাকে লগিন করার জন্য পাসওয়ার্ড তৈরি করতে হবে। এটি মনে রাখবেন, কারণ প্রত্যেকবারই এটি আপনার কাজে লাগবে।
জমা
অ্যাকাউন্ট তো তৈরি হলো। এর পরের ধাপ হচ্ছে অ্যাকাউন্টে টাকা ফেলা। টাকা না ফেললে তো কোনো কাজই হবে না। তাই সবার আগে আপনাকে ডিপোজিট করতে হবে কিছু টাকা। মনে রাখবেন যে প্রথমবার টাকা জমা করার জন্য আপনি কিছু বোনাস পাবেন। সেটা নিবন্ধন করার সময়ই বেছে নিতে হয়। আপনি যেই মুহুর্তে টাকা জমা করবেন, তৎক্ষণাৎ আপনার বোনাস আপনার হাতে চলে আসবে।
বাজি রাখা
এরপর আপনি অনলাইন খেলাধুলার উপর বাজি ধরতে পারেন। বেছে নিন আপনার সাধের ক্রীড়া, তারপর আপনি যেই ম্যাচে বাজি ধরতে চাইছেন। কোন দলের উপর বাজি ধরবেন ঠিক করে নিন, তারপর এক বোতাম টিপলেই কার্যসিদ্ধি। বসে যান তারপর লাইভস্ট্রিম দেখতে এবং সরাসরি দেখে নিন বাজি লাগলো কিনা!
এইবারে আমরা একঝলকে দেখে নিন বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রীয় তিনটি অনলাইনে বাজি খেলার সাইট।
1xBet
রেজিষ্টার করতে কোনো সময়ই লাগবে না আপনার 1xBet অ্যাপ ব্যবহার করলে! টাকা জমা করার অনেক পদ্ধতিও পাবেন হাতের মুঠোয়। বাজি ধরার মজা যদি উপভোগ করতে চান পুরোদমে, তাহলে 1xBet এর অ্যাপ আপনার চাই। মহূর্তের মধ্যে বাজি ফেলুন ও জিতে নিন আপনার ডিপোজিট বোনাস! এখানে আপনি নির্দ্বিধায় টাকাতে লেনদেন করতে পারেন।
আপনি যদি eSports এর উপর বাজি ধরতে চান, তাহলে 22Bet এর থেকে আর বাজি ধরার ভালো সাইট নেই। কাউন্টার স্ট্রাইক, ফোর্টনাইট, ইত্যাদি গেমের উপর বাজি ধরা এখন অত্যন্ত জনপ্রিয়। শুধু তাই নয়, 22Bet এর বিশাল ফুটবল জ্যাকপটও ভীষণ আকর্ষণীয়। আপনি যদি আপনার পছন্দসই সব ম্যাচ সরাসরি দেখে নিতে চান, তাহলে 22Bet সেই ব্যবস্থাও করতে তৈরি।
Megapari তুলনমূলকভাবে নতুন অনলাইন বেটিং সাইট হতে পারে, কিন্তু ওদের বেটিং অ্যাপটি অসাধারণ। নানা রকমের খেলা আছে যার ওপর আপনি বাজি ধরতে পারেন মনের আনন্দে। যত না খেলা, তার মতনই বিচিত্র টাকা লেনদেনের পন্থা আপনার জন্য অপেক্ষা করছে Megapari অ্যাপে। এখানেও আপনি সরাসরি লাইভস্ট্রিম দেখে নিতে পারেন আপনার সবচেয়ে প্রত্যাশিত ম্যাচগুলো বিনা সমস্যায়।
বাংলাদেশে জনপ্রিয় পেমেন্ট পদ্ধতি কোনগুলি?
টাকা জমা দেওয়া কিংবা তোলার ব্যাপারে আপনার কাছে অনেক বিকল্প ব্যবস্থা আছে। চলুন সেগুলো একটু দেখে নি।
বিকাশ
এটি হলো বাংলাদেশের গর্ব। এই অ্যাপটি বাঙালিদের হাতে তৈরি বাঙালিদের জন্যই এবং অনেক বাংলাদেশী বেটিং সাইট বিকাশ ব্যবহার করে। MelBet থেকে টাকা তোলা ও ফেলা খুবই সহজ করে তুলেছে বিকাশ।
আপনি কি বিকাশের সাথে বাজি ধরতে চান? আমাদের পরিদর্শন করুন বিকাশ বেটিং.
PayPal
সবচেয়ে জনপ্রিয় পেমেন্ট সিস্টেমগুলির মধ্যে একটি হওয়ার দরুন পেপ্যাল আপনার তহবিল জমা করার একটি খুব নিরাপদ এবং আরামদায়ক উপায় অফার করে।
MasterCard
মাস্টারকার্ডের ডেবিট কার্ডের সাথে আপনি অনুরোধের ভিত্তিতে যেকোনো ব্যাঙ্ক শাখায় সার্ভিস পেতে পারেন।
Bank Wire
যদি আপনি নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত থেকে থাকেন, তাহলে ব্যাংক থেকেই টাকার লেনদেন করুন। এতে সময় বেশি লাগে বটে, তবে টাকা মার যাওয়ার কোনো ভয় থাকবে না।
অনলাইন বাজি ধরবেন কিসের উপর?
বাংলাদেশে বাজির শুরু ঘোড়া দৌড় দিয়ে। এটি এমন একটি খেলা যে মানুষ আজ অবধি এর উপর বাজি ধরে। তবে ঘোড়ার দৌড়ের মতনই বেটিং এর শিল্প থেমে নেই। ক্রিকেট, ফুটবল, টেনিস, হকি, ভলিবল ইত্যাদির মতো অনেক খেলা রয়েছে যাদের উপর বাংলাদেশিরা বাজি ধরতে পারে। এই তালিকার কোন শেষ নেই, এবং এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। বাংলাদেশীদের খেলাধুলার প্রতি যে ভালোবাসা, সেটাই প্রমাণ হচ্ছে এই বৃদ্ধির দরুন।
বিজ্ঞানের অগ্রগতির সঙ্গে কাউন্টার স্ট্রাইকের মতো ইস্পোর্টগুলিও নতুন প্রজন্মের কাছে বাজি ধরার জন্য জনপ্রিয়। শিল্পের বিকাশ তো হবেই! এবং তার সাথে হরেক রকমের নতুন খেলতে বাজি ধরার রেওয়াজ চালু হবে। এই ব্যাপারে অন্তত সবাই একমত!
তবে যেসব খেলাধুলায় প্রচুর মানুষকে অনলাইনে বাজি ধরতে দেখা যায়, সেগুলোর একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা নিচে দেওয়া হলো:
ক্রিকেট
বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা হচ্ছে ক্রিকেট। প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও একথা একইভাবে প্রযোজ্য। ক্রিকেটে বাজি ধরার সবচেয়ে চমৎকার ব্যাপার হচ্ছে, এই স্পোর্ট-এ প্রচুর মার্কেট রয়েছে। বাংলাদেশের সকল ক্রিকেটপ্রেমীর চোখ থাকে বাংলাদেশের জাতীয় দলের দিকে। সবচেয়ে বেশি বাজি ধরা হয় ম্যাচের ফলাফলের উপর বাজির। আরেকটি ধরণ হচ্ছে ম্যাচে কে সবচেয়ে বেশি রান করবে তার উপর।
ফুটবল
ক্রিকেটের পরই ফুটবল বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা। দেশের জাতীয় ফুটবল দলটি খুব ভালো না হলেও এই খেলার জন্য সারাদেশের মানুষের ভালবাসা লক্ষণীয়। বাংলাদেশের বহু তরুণ-তরুণী ফুটবল খেলায় বাজি ধরে থাকে। জনপ্রিয় মার্কেটগুলি হচ্ছে:
মানিলাইন বাজি, যেখানে আপনাকে শুধু অনুমান করতে হবে কোন দল জিতবে।
আরেকটি মার্কেট হচ্ছে উইন-ড্র বাজি, যেখানে ড্র অপশনটি থাকে।
কাবাডি
কাবাডি হচ্ছে বাংলাদেশের জাতীয় খেলা। তবে লক্ষণীয় ব্যাপার হচ্ছে, খুব কম বুকমেকারই কাবাডি খেলায় বাজি ধরার সুযোগ দেয়। আমরা যেসব বুকমেকার ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছি, সেগুলোর মধ্যে বেশ কিছু বুকমেকারে কাবাডি খেলায় বাজি ধরা যায়। এই খেলায় বাজির ধরনগুলো নিম্নরূপ:
ম্যাচ বেটিং, যে বাজিতে অনুমান করা হয় কোন দল জিতবে।
হাফ বেটিং, যাতে খেলার প্রথম এবং দ্বিতীয়ার্ধে কোন দল ভালো করবে, তার উপর বাজি ধরা হয়।
এছাড়াও কিছু বুকমেকারে বাংলাদেশের তুলনামূলকভাবে কম পরিচিত বিভিন্ন আঞ্চলিক খেলায় বাজি ধরার সুযোগ রয়েছে।
ইন্টারনেটের কল্যাণে এখন বাজি ধরার ব্যাপারটি অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে সহজ। প্রতিদিনই বাজি ধরার নতুন ওয়েবসাইট আসছে, এবং সেগুলো গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে আকর্ষণীয় অফার ও প্রমোশন দিচ্ছে। এই বিষয়টি গ্রাহকদের জন্য অত্যন্ত সুবিধাজনক। নিম্নোক্ত কারণে নতুন প্লাটফর্মে বাজি ধরা আপনার জন্য ভালো হতে পারে:
নতুন বাজির সাইট ব্যবহার করা আরও সুবিধাজনক
ইন্টারনেটে বাজি ধরার ইন্ডাস্ট্রি অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক, এবং নতুন বেটিং সাইটগুলো এই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য পুরাতন সাইটগুলোর চাইতে বাড়তি সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এসব বাড়তি সুবিধার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ব্যবহারোপযোগিতা।
প্রায় সকল নতুন বেটিং সাইট এমনভাবে নির্মিত, যা একজন পুরোপুরি অনভিজ্ঞ মানুষও অনায়াসে ব্যবহার করতে পারে। এ কারণে আপনি যদি কখনও অনলাইন বাজিতে অংশগ্রহণ না করে থাকেন, তাহলে আপনার সম্ভবত উচিৎ হবে একটি নতুন প্লাটফর্মে প্রথম বাজিটি ধরা।
আকর্ষণীয় অফার ও প্রমোশন
বাংলাদেশে নতুন বাজির সাইটগুলো গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে পুরাতন সাইটগুলোর চেয়েও আকর্ষণীয় বোনাস ও প্রমোশন প্রদান করে থাকে। এসব বোনাস ও প্রমোশনের মধ্যে রয়েছে নো ডিপোজিট বোনাস, লয়্যালটি প্রোগ্রাম, ক্যাশব্যাক, প্রমোশন ইত্যাদি। অনেক নতুন সাইট খুবই সহজ শর্তে নো ডিপোজিট বোনাস প্রদান করে থাকে।
উন্নত প্রযুক্তি
নতুন প্লাটফর্মগুলো সর্বশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকে, যার ফলে ওইসব বেটিং সাইট ব্যবহার করা অত্যন্ত সহজ হয়। নতুন প্রযুক্তিতে গ্রাহকদের তথ্যের নিরাপত্তাও বেশি থাকে। আপনি যদি অনলাইন বাজির ক্ষেত্রে বা ক্যাসিনো খেলার ক্ষেত্রে কোন বিস্ময়কর ফিচার দেখতে চান, তাহলে আপনি সেটা দেখতে পারবেন 2024 সালের নতুন বেটিং সাইটগুলো ভিজিট করলে।
টাকা লেনদেনের প্রচুর মাধ্যম
সকল নতুন বেটিং সাইটগুলো টাকা লেনদেনের প্রচুর মাধ্যম রাখে, যাতে সকল ধরনের গ্রাহকই সাইটটিতে অনায়াসে টাকা লেনদেন করতে পারে। এ কারণেই দেখা যায়, যেসব সাইট নতুন, সেগুলো বাংলাদেশের গ্রাহকদের জন্য সুবিধাজনক টাকা লেনদেনের মাধ্যম যেমন বিকাশ, নগদ, রকেট ও উপায় ইত্যাদি ব্যবহারের সুযোগ দেয়।
নির্ভরযোগ্য গ্রাহক পরিষেবা
অনেক পুরনো বেটিং সাইট রয়েছে যেগুলো নিম্নমানের গ্রাহক পরিষেবা প্রদান করার জন্য বেশ দুর্নাম কুড়িয়েছে। বাংলাদেশের নতুন বেটিং সাইটগুলো এই সুযোগটি নিয়েছে। তারা লাইভ চ্যাট, ইমেইল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইত্যাদি ব্যবহার করে গ্রাহকদের উন্নতমানের গ্রাহক পরিষেবা প্রদান করে থাকে। আপনি দিন-রাত যখনই কোন টেকনিক্যাল সমস্যার মুখোমুখি হন না কেন, আপনি আশা করতে পারেন নতুন সাইটে আপনি তাৎক্ষণিকভাবে সেই সমস্যার সমাধান পাবেন।
বৈচিত্র্যময় মার্কেট এবং সুবিধাজনক অড
পুরাতন বাজির সাইটগুলোর সঙ্গে টিকে থাকার জন্য খেলাধুলায় বাজির নতুন সাইটগুলো অপেক্ষাকৃত ভালো অড উপহার দেয় যেগুলো সবার জন্য প্রযোজ্য। বহু ধরনের বাজি ধরার মার্কেট নতুন সাইটগুলোতে থাকে, যেমন ঘোড়দৌড় ক্রিকেট, বাস্কেটবল, কুকুর দৌড় ইত্যাদি।
এসব কারণেই আপনি যদি অনলাইন বাজি ধরার ক্ষেত্রে একেবারে নতুন এবং অনভিজ্ঞ হয়ে থাকেন, তাহলে এমন একটি বেটিং সাইট বেছে নিন যেটি নতুন কিন্তু নির্ভরযোগ্য। সবচেয়ে ভালো নতুন বুকমেকার কীভাবে খুঁজে পাবেন সে বিষয়ে আমরা অন্য নিবন্ধে আলোচনা করেছি।
৫ টি শীর্ষস্থানীয় নতুন বাজি ধরার সাইট
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে অনলাইন বাজিতে প্রচুর নতুন প্লাটফর্মের দেখা মিলেছে। এসব বেটিং সাইটে রয়েছে চমৎকার নতুন সব ফিচার সর্বশেষ প্রযুক্তির সফটওয়্যার অসাধারণ গেমের সমাহার এবং আকর্ষণীয় বোনাস ও প্রমোশনের কারণে এসব বাজির সাইট নতুন গ্রাহকদের কাছে বিপুল আবেদন সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে এরকম পাঁচটি সাইট সম্পর্কে আলোচনা করা হলো
1xBet
নিরাপদ, ঝামেলামুক্ত এবং সর্বোচ্চ প্রযুক্তি দ্বারা পরিচালিত এই বাজি ধরার সাইটটিতে গ্রাহকরা পেয়ে থাকে ইন্টারেক্টিভ ইন্টারেফেস, সরাসরি স্ট্রিমিং ইত্যাদি আকর্ষণীয় সুবিধা। এছাড়াও এই বাজির সাইট এর মোবাইল অ্যাপ কাজ করে মসৃণভাবে। ফলে, প্ল্যাটফর্মটি যারা ব্যবহার করে তারা অন্য প্ল্যাটফর্মের দিকে খুব কমই ধাবিত হয়।
এই প্লাটফর্মের সম্ভবত সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে প্রচুর মার্কেটের সমাহার। বাংলাদেশিরা বিকাশ, নগদ, রকেট ও উপায় এর মত পেমেন্ট মেথডগুলো ব্যবহার করতে পারে।
22Bet
22Bet বুকমেকারের বিশেষত্ব হচ্ছে, এতে রয়েছে প্রচুর গেমের সমাহার। এর সাথে রয়েছে স্পোর্টস বেটিং, ভার্চুয়াল খেলাধুলা, লাইভ ডিলার গেম, এবং নানা প্রকার ক্যাসিনো গেম। এই সাইটের ডিজাইনের নতুনত্বও বিশেষভাবে লক্ষ্যনীয়। প্রচুর ফিচার থাকা সত্ত্বেও বেটিং সাইটটি মোটেই ঘিঞ্জি মনে হয় না।
Parimatch
বাংলাদেশের গ্রাহকদের কথা মাথায় রেখে Parimatch রেখেছে টাকা লেনদেনের বহু মাধ্যম। এসব মাধ্যমের মধ্যে রয়েছে রকেট, বিকাশ, এবং নগদ। বাংলাদেশী বাজারে নতুন হওয়ার কারণে Parimatch বেটিং সাইট আকর্ষণীয় বোনাস ও অফার প্রদান করে। গ্রাহক পরিষেবাও চমৎকার। নতুনত্ব আনার ব্যাপারে প্যারিম্যাচ বুকমেকারটির প্রচেষ্টা সবসময় অব্যাহত থাকে।
4RaBet
গ্রাহকদের আকৃষ্ট করার জন্য 4RaBet বাজির সাইট গুরুত্ব দেয় বোনাসের উপর। এসব বোনাসের মাধ্যমে জেতা টাকা উত্তোলনের জন্য শর্তগুলোও বেশ শিথিল। বোনাস দেওয়ার যে কত অসংখ্য উপলক্ষ থাকতে পারে, 4RaBet বেটিং সাইট এর বেটিং সেকশনে তাকালেই সেটা বোঝা যায়। রয়েছে প্রচুর মার্কেটের সমাহার। গেমগুলো নির্মাণ করেছে খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানগুলো।
Megapari
বৈধভাবে প্লাটফর্ম পরিচালনার উপর প্রচুর গুরুত্বারোপ করে Megapari বাজির সাইটটি। লাইসেন্সের বৈধতার ব্যাপারে Megapari প্ল্যাটফর্মটি আমাদের সঠিকভাবে অবহিত করে। বড় বড় ইভেন্টে বহু মানুষ বাজি ধরে এই প্লাটফর্মে।
রয়েছে অ্যান্ড্রয়েড আর আই ও এস ডিভাইসের জন্য অ্যাপ, আর সেই অ্যাপ কাজ করে মসৃণভাবে। ক্রিকেট ও ফুটবল ছাড়াও আরো যেসব খেলায় এই বেটিং সাইট-এ বাজি ধরা যায় সেগুলোর মধ্যে রয়েছে আইস হকি, বেসবল, টেবিল টেনিস, স্নুকার এবং ওয়াটার পোলাসহ আরো বহু ধরনের খেলাধুলা।
নতুন নতুন প্লাটফর্মের আগমনের কারণে অনলাইনে বাজি ধরার ব্যাপারটা বাংলাদেশীদের কাছে ক্রমেই আরো সহজ ও মজার হয়ে উঠছে।
কোন বাজির সাইট নির্বাচনের আগে অবশ্যই সেটার মান বিচার করবেন। দেখে নেবেন বেটিং সাইট এর ফিচার, লাইসেন্স এবং ব্যবহারকারীদের মতামত। বহু বিচিত্র প্ল্যাটফর্মের কারণে বাংলাদেশীদের জন্য অনলাইনে জুয়া খেলার ক্ষেত্রে সম্ভাবনার বহু নতুন দরজা খুলে গেছে ।
আইপিএলে বাজি ধরার জন্য বাংলাদেশের শীর্ষ বেটিং সাইট
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) অনুষ্ঠিত হওয়ার সময় বাংলাদেশি ক্রিকেটপ্রেমীদের ব্যাপক উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে দেখা যায়। বহু তরুণ-তরুণী বিভিন্ন আইপিএল ম্যাচে বাজি ধরে এবং বেশ কিছু বাজি ধরার সাইট নতুন গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে আকর্ষণীয় বোনাস ও প্রমোশন দেয়। আইপিএলে বাজি ধরার জন্য সেরা সাইটগুলো চিনে রাখুন:
1xBet: ক্রিকেটে বাজি ধরার জনপ্রিয় সাইট। প্রথম জমার উপর ১০০% স্বাগত বোনাস প্রদান করে, যার পরিমাণ ১২,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
Pin-Up:পিনআপ বুকমেকারটি প্রথম জমার উপর ১২৫% পর্যন্ত স্বাগত বোনাস প্রদান করে। আইপিএল টুর্নামেন্টে বাজি ধরার জন্য Pin-Up অন্যতম বহুল পরিচিত বুকমেকার।
22Bet: 22Bet প্ল্যাটফর্মটির রয়েছে চমৎকার ডিজাইন, ফলে প্লাটফর্মটি যে কেউ সহজে ব্যবহার করতে পারে। সাইটটি প্রদান করে আকর্ষণীয় বোনাস ও প্রমোশন। রয়েছে সুবিধাজনক পেমেন্ট মেথড।
BetAndreas: আইপিএল-এ নিয়মিত বাজি ধরা সকল ক্রিকেটপ্রেমীই BetAndreas বুকমেকারটির সাথে পরিচিত। কমপক্ষে ১,০০০ টাকা জমা করলে সাইটটি প্রথম জমার উপর ৫০% ওয়েলকাম বোনাস দেয়।
888Starz: আকর্ষণীয় বোনাস ও প্রমোশনের পাশাপাশি জেতা টাকা দ্রুত উত্তোলনের সুবিধা প্রদান করার কারণে 888Starz বুকমেকারটি আইপিএলের বাজিপ্রেমী দর্শকদের কাছে বেশ আবেদন সৃষ্টি করেছে।
বোনাস ও প্রমোশনের অফার নিয়মিত পরিবর্তিত হয়, তাই বর্তমানে কোন বোনাস রয়েছে তা ভালোভাবে জেনে নিতে হবে।
সেরা ৫ টি লাইভ বেটিং সাইট
বাংলাদেশে অনলাইন বাজির ক্ষেত্রটি ক্রমবিবর্তনশীল হলেও একটি ব্যাপার বরাবরই লক্ষ্য করা গেছে, এবং সেটা হচ্ছে লাইভ বাজির তুঙ্গস্পর্শী জনপ্রিয়তা। এই চাহিদা মেটাতে প্রচুর অনলাইন বেটিং সাইট এখন খেলাধুলায় লাইভ বাজির সুযোগ দিচ্ছে।
নিচে আমরা যে পাঁচটি বাজির সাইটের ব্যাপারে আলোচনা করতে যাচ্ছি, সেগুলো ইতোমধ্যে লাইভ বাজির জন্য বাংলাদেশি গ্রাহকদের কাছে তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
Bet365
লাইভ বাজির ক্ষেত্রে প্রতিযোগী সাইটগুলোর চেয়ে বেশ কিছু দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে Bet365 সাইটটি। বাজি ধরার জন্য প্রচুর অপশন রয়েছে এই বেটিং সাইটে। সেই সাথে আছে চমৎকার ডিজাইন আর সরাসরি সম্প্রচারিত স্পোর্টস ইভেন্টের বিপুল সমাহার। দুই ডজনেরও বেশি মার্কেট রয়েছে এই সাইটে।
রয়েছে আকর্ষণীয় স্বাগত বোনাস যা বিশেষ শর্তে বাজিতে ব্যবহার করা যায়। গ্রাহক পরিষেবার দিক থেকেও প্রতিযোগী প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে এগিয়ে রয়েছে Bet365 বেটিং সাইট।.
BC Game
ব্লকচেইন প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্তকরণের মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচারিত খেলাধুলায় বাজিতে নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে BC Game বেটিং সাইটটি। অনেক গ্রাহক এখনো জানেন না যে ব্লকচেইন প্রযুক্তির মাধ্যমে অনলাইন বাজি অত্যন্ত নিরাপদ।
বিটকয়েন, ইথারিয়াম ও ডোজকয়েনসহ যে কোনো ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করে বাজি ধরা যায় এই বাজির সাইটে। প্রত্যেক গেমের জন্য হাউস এজ প্রদর্শিত হয়, যেটা গ্রাহকদের জন্য কৌশলগত সুবিধা দেয়। ভিআইপি গ্রাহকরা পেয়ে থাকে বড় বড় বোনাস ও প্রমোশন।
888Starz
888Starz সাইটটি তুলনামূলকভাবে নতুন হওয়া সত্বেও বাংলাদেশী গ্রাহকদের কাছে আবেদন সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে মূলত এর লাইভ বাজি সেকশনটির কারণে। বহু প্রকার চলমান খেলাধুলার উপর বাজি ধরার সুযোগ দেয় এই বেটিং সাইট।
এই প্লাটফর্মে ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে বাজি ধরা যায়, এবং রয়েছে প্ল্যাটফর্মটির নিজস্ব ব্লকচেইন টোকেন: 888Tron. বেশিরভাগ বাংলাদেশী গ্রাহকের সুবিধার জন্য রয়েছে বিকাশ, নগদ, রকেট ও উপায় এর মত পেমেন্ট মেথডগুলো।
Mostplay
Mostplay বেটিং সাইটটির বয়স কম হলেও সাইটটি বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে, এবং এই জনপ্রিয়তার অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে প্ল্যাটফর্মটির সমৃদ্ধ লাইভ সেকশন। এই বেটিং সাইটটি প্রধানত গুরুত্ব দেয় ক্রিকেট বাজি ধরার উপর।
যেকোনো সময় আপনি অনেক টি-টোয়েন্টি, টি-টেন এবং ওডিআই ম্যাচে বাজি ধরতে পারবেন। লাইভ সেকশনে গেলে দেখা যায় চলমান ম্যাচ ও টুর্নামেন্টের তালিকাটা বেশ দীর্ঘ। আপকামিং সেকশনে আপনি দেখতে পাবেন আসন্ন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচগুলো।
BetAndreas
চলমান খেলাধুলায় বাজির ক্ষেত্রে বাংলাদেশী গ্রাহকদের জন্য সুবিধায় নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে BetAndreas বেটিং সাইটটি। ক্রিকেট, ফুটবল, টেনিস, বাস্কেটবল, টেবিল টেনিসসহ বহু খেলাধুলার লাইভ ম্যাচে বাজি ধরা যায় এখানে।
BetAndreas বাংলাদেশি বাজারে প্রবেশ করেছিল সেই ২০০৯ সালে। দীর্ঘ সময় ধরে কার্যক্রম পরিচালনা করার ফলে বাংলাদেশের গ্রাহকদের রুচি ও সুবিধার ব্যাপারে যথেষ্ট জ্ঞান অর্জন করেছে এই সাইটটি, এবং সেই জ্ঞানের প্রতিফলন আমরা লক্ষ্য করি সাইটটির কার্যক্রম পরিচালনা পর্যবেক্ষণ করে।
বিপিএল-এ বাজি ধরার জন্য বাংলাদেশের সেরা বাজির সাইট
বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা বিপিএল(বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ) টুর্নামেন্টের ব্যাপারে ব্যাপক উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে থাকে, এবং এই খেলা চলাকালে তাদের বিভিন্ন বেটিং সাইটে বাজি ধরতে দেখা যায়। বিপিএল এ বাজি ধরার জন্য সেরা সাইটগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো:
Megapari: বিপিএলে বাজি ধরার জন্য সবচেয়ে উপযোগি বাজির সাইটগুলোর একটি হচ্ছে Megapari. এই বাজির সাইটে ১০০% স্বাগত বোনাস দেওয়া হয় যা ৯,৭০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
4Rabet: 4Rabet বাজির সাইটে ৬০০% ম্যাচ বোনাস দেওয়া হয়, যা ৬০,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
BetAndreas: যদিও BetAndreas সাইটে স্বাগত বোনাস পেতে হলে কমপক্ষে ১,০০০ টাকা জমা দিতে হয়, BPL-এ বাজি ধরলে এই সাইটে বিভিন্ন আকর্ষনীয় বানাস ও প্রমোশন পাওয়া যায়।
Mostplay: এই বাজির সাইটে ১০০% স্বাগত বোনাস দেওয়া হয় যার পরিমাণ হতে পারে ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত। অনেক দিক বিবেচনাতেই নতুন গ্রাহকদের জন্য Mostplay একটি চমৎকার বাজির সাইট।
নিয়মিত গ্রাহকরা বেশি আকর্ষণীয় বোনাস ও প্রমোশন পেয়ে থাকেন, এবং এটি সকল বাজির সাইটের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
বাংলাদেশে অনলাইন জুয়ায় টাকা লেনদেনের জন্য সেরা ২০ টি মাধ্যম
বাংলাদেশে অনলাইন ক্যাসিনো ও বেটিং প্লাটফর্মের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে এসব প্লাটফর্মে টাকা লেনদেনের মাধ্যমও অনেক বেড়ে গেছে। টাকা লেনদেনের প্রক্রিয়াকে সহজ করতে সাইটগুলো এখন অনেক সুবিধাজনক ওয়ালেট চালু করেছে। বাংলাদেশি গ্রাহকদের জন্য যে ২০ টি মাধ্যম সবচেয়ে বেশি উপযোগী, সেগুলোর তালিকা নিচে দেওয়া হল:
বিকাশ
রকেট
নগদ
ভিসা
মাস্টারকার্ড
স্ক্রিল
নেটেলার
পেপাল
ক্রিপ্টোকারেন্সি (যেমন বিটকয়েন, ইথেরিয়াম)
পারফেক্ট মানি
পেয়োনিয়ার
ইউপে
ট্রাস্টলি
ফাস্ট পে
ফ্লেক্সিপিন
ওয়েবমানি
ব্যাংক ট্রান্সফার
টাকা লেনদেনের এসব মাধ্যমের সঙ্গে প্রতিদিনই যুক্ত হচ্ছে আরো নতুন নতুন মাধ্যম, ফলে বাংলাদেশীদের জন্য অনলাইনে বাজি ধরা এবং ক্যাসিনো গেমে অংশগ্রহণ করা এখন অত্যন্ত সহজ।
বাংলাদেশি টাকা গ্রহণ না-করা বুকমেকারে বাজি ধরার উপায়
বাংলাদেশে বর্তমানে বহু বেটিং সাইটে বাংলাদেশি টাকা ব্যবহার করে বাজি ধরা যায়। আবার অনেক সাইটেই বাংলাদেশী টাকা গ্রহণ করা হয় না। আশার কথা হচ্ছে, এই সমস্যার বেশ সহজ সমাধান রয়েছে। প্রথমত, আপনি এমন একটি ওয়ালেট ব্যবহার করুন যেটিতে বাংলাদেশি টাকা রাখা যায় এবং যে ওয়ালেটটি ওই নির্দিষ্ট বুকমেকারে ব্যবহার করা যায়। আপনি আপনার টাকাকে সহজেই ইউরো বা ডলারে রূপান্তরিত করতে পারেন এবং ইউরো বা ডলার ব্যবহার করে ওই বুকমেকারে বাজি ধরতে পারেন।
আরেকটি উপায় হচ্ছে, ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করা। আপনি বাংলাদেশী টাকা ব্যবহার করে কোন ক্রিপ্টোকারেন্সি কিনবেন এবং সেই ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করে বাজি ধরবেন। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আপনাকে টাকা ক্রিপ্টোকারেন্সিতে রূপান্তরের জন্য কোন ফি দিতে হবে না। এই পদ্ধতিতে আপনি এমন সব বুকমেকার ব্যবহার করতে পারবেন যেগুলোতে বাংলাদেশী টাকা গ্রহণ করা হয় না।
আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
অনলাইন বাজির সাইটের সংখ্যা হু হু করে বেড়ে চলেছে ,এবং সেই সাথে বেড়ে যাচ্ছে বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য বাজির সাইটের সংখ্যা। অথচ কয়েক বছর আগেও বাংলা ভাষায় বাজির সাইট ছিল হাতে গোনা। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমরা অনলাইন বাজির পুরো ব্যাপারটি বিবর্তিত হতে দেখেছি, এবং অনেক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সেরা ক্যাসিনো সাইটগুলোর তালিকা তৈরি করেছি।আমরা বিশ্বাস করি, বাজি ধরার জন্য সেই প্ল্যাটফর্মগুলোই ভালো, যেগুলো গ্রাহকদের সুবিধা ও সামর্থের উপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়।
বেটিং বাংলাদেশ
বেটিং বাংলাদেশ সাইটে প্রকাশিত সকল নিবন্ধের লক্ষ্য একটাই: আপনাকে আপনার জন্য সেরা অনলাইন ক্যাসিনো ও বাজি ধরার প্ল্যাটফর্ম চিনতে সাহায্য করা।
অনলাইন মার্কেটিং-এ 10 বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা এবং 5 বছরেরও বেশি সময় ধরে জুয়ার অ্যাফিলিয়েশন সেক্টরে বিশেষ ফোকাস সহ, মার্টিন লাসমানিস তার কুলুঙ্গিতে একজন সত্যিকারের বিশেষজ্ঞ। আজ, মার্টিনের দৃষ্টিভঙ্গি হল বিশ্বের বৃহত্তম লিড জেনারেটর কোম্পানি তৈরি করা। সৌভাগ্যবশত, আমরা তার স্বপ্ন বাস্তব করতে নিখুঁত দল আছে!
Arturs Korolkovs
অধিভুক্ত প্রধান
iGaming শিল্পে অ্যাফিলিয়েট এবং সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ে 3 বছরের অভিজ্ঞতা সহ বিপণন বিশেষজ্ঞ। শিল্প সম্পর্কে তার গভীর গভীর উপলব্ধি এবং ড্রাইভিং বৃদ্ধির একটি প্রমাণিত ট্র্যাক রেকর্ড তাকে দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ "খেলোয়াড়" করে তোলে।
Yevhen Annikov
এসইও বিশেষজ্ঞ
এক বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা সহ যোগ্য বিশেষজ্ঞ। অনুসন্ধান ফলাফলে একটি ওয়েবসাইট এর দৃশ্যমানতা বাড়ানোর জন্য প্রচার এবং অপ্টিমাইজ করার অনেক পদ্ধতিতে জ্ঞানী
শাগ্নিক বর্মন বরাবর কলকাতার বাসিন্দা। ছেলেবেলা থেকে ক্রিকেট ও ফুটবল দেখে ও খেলে বড় হওয়ার দরুন তার খেলাধুলার প্রতি ভালোবাসা অগাধ। সেই ভালোবাসা প্রথমে কলম এবং এখন কীবোর্ড দ্বারা প্রকাশ পায়।
আর্টিকেলের রেটিং
4.7/5
3 ভোট
FAQ. সচরাচর জিজ্ঞাস্য প্রশ্ন
বাংলাদেশে ঘোড়দৌড়ের উপর বাজি রাখা হয় প্রথম। তারপর ক্রিকেট, ফুটবল ইত্যাদি আরো জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
নিশ্চয় পাবেন! আপনি নিজের বোনাস নিজেই বেছে নিতে পারেন।
বাংলাদেশে বাজি ধরতে হলে ক্রিকেট হলো সবচেয়ে জনপ্রীয় খেলা।
আপাতত বাংলাদেশে বাজি ধরা আইনত অপরাধ, যদিও বিশ্বস্ত অনলাইন সাইট থেকে বাজি ধরলে ঝামেলা কম।
আপনার পক্ষে যতটা সম্ভব, আপনি তত টাকার বাজিই ধরবেন। নিজের অসুবিধা করে লাভ নেই।